ডেস্ক রিপোর্ট : বিশ্ব মহামারী কোভিড-১৯ এর কারনে সমগ্র বিশ্ব আজ নিস্তব্ধ। অধিকাংশ পেশার মানুষই বলতে গেলে অলস সময় কাটাচ্ছেন ঘরে বসে।
মানুষের জীবনের এক ঘেয়েমী দূর করার জন্য দেশের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো অনলাইন ভিত্তিক নানা অনুষ্ঠান আয়োজন করছে তাদের নিজস্ব সংগঠনের পেইজ থেকে। সেইদিক থেকে আনন্দ সাংস্কৃতিক অংগনও ব্যাতিক্রম নয়। তবে আনন্দ সাংস্কৃতিক অংগন অন্য সংগঠনগুলোর তুলনায় অনলাইন ভিত্তিক অনেক উন্নতমানের অনুষ্ঠান আয়োজন করছে একের পর এক। মঞ্চে লাইভ অনুষ্ঠানের মতো করে এতো ভালো অনলাইন অনুষ্ঠানও আয়োজন করা যায় সেটা প্রথমবারের মতো দেখিয়েছে এই আনন্দ সাংস্কৃতিক অংগন সংগঠনটি। এই প্রসংগে বিস্তারিত জানতে চাইলে সংগঠনটির পরিচালক লিটন মিত্র বলেন-
আনন্দ সাংস্কৃতিক অংগন আজকের সংগঠন নয়। ১৮ই আগস্ট, ২০০২ সালে আমার হাত ধরে এই সংগঠনের জন্ম। সেই তখন থেকেই নবীন এবং প্রবীন শিল্পীদের নিয়ে একের পর এক ধারাবাহিকভাবে প্রতিমাসে আমি মঞ্চে লাইভ থিয়েটার অনুষ্ঠান করে যাচ্ছি। বর্তমান পরিস্থিতি এতোটাই জটিল যে একটা ক্ষুদ্র ভাইরাস পুরা বিশ্বকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে। গান বাজনা তো সাধনার জিনিস। সে মঞ্চে হোক কিংবা ঘরে বসেই হোক। ধারাবাহিকতা চাইলেই বজায় রাখা যায়। তাই ভাবলাম কিছু অনলাইন স্পেশাল প্রোগ্রাম আয়োজন করি। ইতিমধ্যে আমরা দুইটা সফল অনুষ্ঠান আয়োজন করেছি এবং দর্শকের যথেষ্ট সাড়াও পেয়েছি। গত ৮ই মে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৯তম জন্মদিন উপলক্ষে “তোমায় গান শুনাবো” শিরোনামে প্রথম অনুষ্ঠান আমরা আয়োজন করেছি। সএখানে কোলকাতা,ঢাকা এবং চট্টগ্রামের অনেক গুনী শিল্পীরা অংশগ্রহণ করেন। এরপর এই কিছুদিন আগেই গত ২৫ই মে উদযাপন করি “সৃজন ছন্দে” শিরোনামে কাজী নজরুল ইসলামের ১২১তম জন্মদিন। উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ আকর্ষণ ছিলো কলকাতার জনপ্রিয় সংগীত তারকা শুভমিতা ব্যানার্জি এবং মুম্বাই, মহারাষ্ট্রের একমাত্র বেলাবাহার বাদক পন্ডিত নভীন গান্ধর্ভ। সাথে ছিলেন ঢাকা এবিং চট্টগ্রামের প্রতিভাবান অনেক শিল্পী। এই দুইজন গুণী শিল্পী আনন্দ সাংস্কৃতিক অংগনের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়েছে এটাই আমার জন্য অনেক। উক্ত অনুষ্ঠান দুটো সঞ্চালনা করেছেন আমাদের সবার প্রিয় মুখ আশরাফ মাসুদ যার সাথে এই সংগঠনের সম্পর্ক সংগঠনটির জন্মের পর থেকেই।
সংগঠনটির মার্কেটিং এন্ড পাবলিক রিলেশনস ম্যানেজার অনিক মিত্র বলেন, এটি আমার বাবার সংগঠন। ২০০২ থেকে এই সংগঠনের নিজের চোখের সামনেই বেড়ে উঠা দেখেছি। হয়েছে নানা অভিজ্ঞতা। আমার বাবার বাংলাদেশ এবং কলকাতায় ভালোই একটা পরিচিতি আছে। সংস্কৃতির সংগে যুক্ত এমন মানুষ খুব কম আছেন যারা এই সংগঠনের নাম শুনেন নাই বা চিনেন না। আবার এমন অনেক দর্শক আছেন যারা প্রতিমাসের একটা অনুষ্ঠানও মিস দেন না। হলে গিয়ে উপভোগ করেন প্রতিটি অনুষ্ঠান । এরপরও এখন তথ্য প্রযুক্তির যুগ। আমি চাই সংগঠনের কার্যক্রম ভার্চুয়ালী সব স্তরের মানুষের কাছে পৌছে যাক। আমাদের সংগঠনের একটা মাত্র অফিসিয়াল পেইজ আছে।
https://www.facebook.com/আনন্দ-সাংস্কৃতিক-অংগন-104883387880766/
এই পেইজটি ব্যতীত অন্য কোনো পেইজ বা গ্রুপ থাকলে সেটার ব্যাপারে আমরা অবগত নই। দেশের সার্বিক পরিস্থিতি উন্নত না হওয়া পর্যন্ত আগামীতে অনলাইন ভিত্তিক আরো ভালো কিছু স্পেশাল অনুষ্ঠান আপনারা সবাই দেখবেন এটা আশা রাখছি। পেইজে লাইক দিয়ে সাথে থাকুন আমাদের সব তথ্য নিয়মিত আমরা পেইজেই আপডেট করে থাকি।